২৭-শে নভেম্বর
প্রতি বছরই তো এই তারিখটা আসে, আবার চলেও যায়। আজকের দিনটি অনেক কারণে বাঙালি এবং ভারতবাসীর কাছে মনে রাখার মত দিন। কেন? সেই কথাই আজ জানাই। আজকে অনেক মহাপুরুষের জন্মদিন। আজ ভারতীয় ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক দিনও বটে। আবার যারা ভারতের বাহিরের বিখ্যাত মানুষদের সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল, তাদের জন্যও আজ একজন বিশেষ মানুষের জন্মদিন। এক এক করে জানাই।
প্রথমে আসি ভারতের ইতিহাসের পাতায়। আজ থেকে ঠিক ১০১৮ বছর আগে , ১০০১ খৃষ্টাব্দে, পেশোয়ারে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল - সুলতান মাহমুদ গজনীভ আর জয়পালের মধ্যে। জয়পাল দ্বিতীয় পাল সম্রাট ধর্মপালের ভ্রাতুষ্পুত্র ছিলেন। ভাগলপুরে আবিষ্কৃত নারায়ণপালের তাম্রশাসনে পাল সম্রাট দেবপালকে জয়পালের পূর্বজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় জয়পালকে পাল সম্রাট ধর্মপালের পুত্র ও দেবপালের ভ্রাতা বলে মনে করেছেন।[১] কিন্তু এই তাম্রশাসনের চতুর্থ শ্লোকে ধর্মপালের কনিষ্ঠ ভ্রাতা বাকপালের এবং ঠিক তার পরের শ্লোকেই জয়পালের গুণকীর্তন করা হয়েছে। তাছাড়া ধর্মপাল ও দেবপালের কোন তাম্রশাসনে জয়পালের উল্লেখ নেই। এই সকল কারণে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়ের মতকে খন্ডন করে মত দিয়েছেন যে, জয়পাল বাকপালের পুত্র ছিলেন।(সূত্র উইকিপিডিয়া) অর্থাৎ, বাংলার রাজার সাথে দিল্লীর বাদশাহের সবচেয়ে পুরোনো যুদ্ধ। জয়পাল যেই হোন, তিনি বাংলার (গৌড় বাংলার) রাজা ছিলেন এবং পাল বংশীয় ছিলেন। এই যুদ্ধে জয়পাল হেরে যান এবং তাকে বন্দী করা হয়। ছাড়া পাবার পরে, এই অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে, তিনি জ্বলন্ত চিতাতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সুলতান মাহমুদের জন্য এই জয় এক বিরাট জয় ছিল।
আজকের দিনেই ১৮৮৮ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মৃণালিনী দেবীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মেছিলেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষি বিজ্ঞানী ছিলেন- তার কথা আজ ক'জন বাঙালি মনে রেখেছে? তিনি ছিলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য্য। শিক্ষাবিদ এবং লেখক হিসেবেও তিনি প্রসিদ্ধ ছিলেন।
আজকের দিনেই ১৮৭৮ সালে, যতীন্দ্রমোহন বাগচী জন্মেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ বাঙালি কবি ও সম্পাদক।
১৮৯২ সালে আজকের দিনেই জন্মেছিলেন স্যার মুহাম্মদ আজিজুল হক । তিনি ছিলেন বাঙালি আইনজীবি, লেখক এবং সরকারি অফিসার। পড়াশুনো কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং ল'কলেজে। গ্রামীন কৃষকদের ওপরে তিনি অনেক কাজ করেছিলেন। সে সময়ের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতারা তার সাথে কাজ করেছেন - যেমন সোহারাওয়ার্দী, জিন্নাহ, ফজলুল হক ইত্যাদিরা। তাকে পরে ব্রিটিশ সরকার থেকে অর্ডার অব দি স্টার অব ইন্ডিয়া খেতাবও প্রদান করা হয়। আজকের বাঙালি কি তাকে মনে রেখেছেন ?
আজকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এবং প্রভাবশালী মার্শাল আর্টের শিল্পী, শিক্ষক এবং অভিনেতা ব্রুস লী-র জন্মদিনও। ১৯৪০ সালে এই দিনে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সানফ্রান্সিস্কোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ এখনও অজ্ঞাত। তিনি হংকং-এ মারা যান ১৯৭৩ সালের ২০-শে জুলাই। তার বিখ্যাত উক্তি " Knowing is not enough, we must apply"। আজ এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে তাড়াতাড়ি। আপনাদের কমেন্টের জন্য অপেক্ষায় থাকি।
প্রতি বছরই তো এই তারিখটা আসে, আবার চলেও যায়। আজকের দিনটি অনেক কারণে বাঙালি এবং ভারতবাসীর কাছে মনে রাখার মত দিন। কেন? সেই কথাই আজ জানাই। আজকে অনেক মহাপুরুষের জন্মদিন। আজ ভারতীয় ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক দিনও বটে। আবার যারা ভারতের বাহিরের বিখ্যাত মানুষদের সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল, তাদের জন্যও আজ একজন বিশেষ মানুষের জন্মদিন। এক এক করে জানাই।
প্রথমে আসি ভারতের ইতিহাসের পাতায়। আজ থেকে ঠিক ১০১৮ বছর আগে , ১০০১ খৃষ্টাব্দে, পেশোয়ারে এক ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়েছিল - সুলতান মাহমুদ গজনীভ আর জয়পালের মধ্যে। জয়পাল দ্বিতীয় পাল সম্রাট ধর্মপালের ভ্রাতুষ্পুত্র ছিলেন। ভাগলপুরে আবিষ্কৃত নারায়ণপালের তাম্রশাসনে পাল সম্রাট দেবপালকে জয়পালের পূর্বজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় জয়পালকে পাল সম্রাট ধর্মপালের পুত্র ও দেবপালের ভ্রাতা বলে মনে করেছেন।[১] কিন্তু এই তাম্রশাসনের চতুর্থ শ্লোকে ধর্মপালের কনিষ্ঠ ভ্রাতা বাকপালের এবং ঠিক তার পরের শ্লোকেই জয়পালের গুণকীর্তন করা হয়েছে। তাছাড়া ধর্মপাল ও দেবপালের কোন তাম্রশাসনে জয়পালের উল্লেখ নেই। এই সকল কারণে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়ের মতকে খন্ডন করে মত দিয়েছেন যে, জয়পাল বাকপালের পুত্র ছিলেন।(সূত্র উইকিপিডিয়া) অর্থাৎ, বাংলার রাজার সাথে দিল্লীর বাদশাহের সবচেয়ে পুরোনো যুদ্ধ। জয়পাল যেই হোন, তিনি বাংলার (গৌড় বাংলার) রাজা ছিলেন এবং পাল বংশীয় ছিলেন। এই যুদ্ধে জয়পাল হেরে যান এবং তাকে বন্দী করা হয়। ছাড়া পাবার পরে, এই অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে, তিনি জ্বলন্ত চিতাতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। সুলতান মাহমুদের জন্য এই জয় এক বিরাট জয় ছিল।
আজকের দিনেই ১৮৮৮ সালে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং মৃণালিনী দেবীর জ্যেষ্ঠ পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মেছিলেন। তিনি একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি কৃষি বিজ্ঞানী ছিলেন- তার কথা আজ ক'জন বাঙালি মনে রেখেছে? তিনি ছিলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য্য। শিক্ষাবিদ এবং লেখক হিসেবেও তিনি প্রসিদ্ধ ছিলেন।
আজকের দিনেই ১৮৭৮ সালে, যতীন্দ্রমোহন বাগচী জন্মেছিলেন। তিনি ছিলেন প্রসিদ্ধ বাঙালি কবি ও সম্পাদক।
১৮৯২ সালে আজকের দিনেই জন্মেছিলেন স্যার মুহাম্মদ আজিজুল হক । তিনি ছিলেন বাঙালি আইনজীবি, লেখক এবং সরকারি অফিসার। পড়াশুনো কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ এবং ল'কলেজে। গ্রামীন কৃষকদের ওপরে তিনি অনেক কাজ করেছিলেন। সে সময়ের অধিকাংশ রাজনৈতিক নেতারা তার সাথে কাজ করেছেন - যেমন সোহারাওয়ার্দী, জিন্নাহ, ফজলুল হক ইত্যাদিরা। তাকে পরে ব্রিটিশ সরকার থেকে অর্ডার অব দি স্টার অব ইন্ডিয়া খেতাবও প্রদান করা হয়। আজকের বাঙালি কি তাকে মনে রেখেছেন ?
আজকে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ এবং প্রভাবশালী মার্শাল আর্টের শিল্পী, শিক্ষক এবং অভিনেতা ব্রুস লী-র জন্মদিনও। ১৯৪০ সালে এই দিনে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সানফ্রান্সিস্কোতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মৃত্যুর কারণ এখনও অজ্ঞাত। তিনি হংকং-এ মারা যান ১৯৭৩ সালের ২০-শে জুলাই। তার বিখ্যাত উক্তি " Knowing is not enough, we must apply"। আজ এই পর্যন্তই। আবার দেখা হবে তাড়াতাড়ি। আপনাদের কমেন্টের জন্য অপেক্ষায় থাকি।
No comments:
Post a Comment